"প্রতিদিনে"র জয় গোস্বামীর এক প্রতিবেদনে, বেশ একটা লেখা পড়ে যেটা সবথেকে বেশী ভালো লেগেছে তা হলো, "যদি আমি বাঙালী পরিবারে না জন্মাতাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ পেতাম না।"
আজ এটা আমারও কথা, ঠিক তো ছোটো বেলাটা "সহজ পাঠের" দোলদোলানি কবিতাগুলো মুখস্থ করতে যদি বাধ্য না হতাম, তবে বড় হয়ে আমার অনুভূতিগুলোর ইমারতটা হয়ত গড়েই উঠত না।
বুঝে উঠতে পারতাম না, "বীরপুরুষ" হয়ে যে মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন আমার, সেই মায়ের কাছে "প্রশ্ন" করে "ছুটি" চাওয়াটাও আমার।
যত বড় হলাম জানতে পারলাম, "ভালোবাসি ভালোবাসি" ভালোবাসার অপর নাম যে "মুক্তি", তাও জানলাম ।
মনে যখন প্রশ্ন উঠল "ভালোবাসা কারে কয় সেকী কেবলই যাতনাময়?"।
উত্তর পেলাম, ভালোবাসা তো "চীরবসন্ত"।
যখন অনুভূতি গুলো এক এক করে মসৃন হয়ে উঠছে , জেনেছি "আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো।"
সুন্দর যেমন সুন্দরতর হয়েছে তার ছোয়াঁয়, মৃত্যুও তেমনি শিরনত করে তাকে "মৃতুঞ্জয়ী" করে গেছে।
জীবনের এপার ওপার এর যে রাস্তাটা, ওটাও কীভাবে যে জেনে গেছলেন বুঝে পাইনি কখনও ।
পরমময়ের কাছে মাতা নত করে স্বীকার করেছিলেন এ সৃষ্টির স্রষ্ঠা তিনিই। এ প্রকৃতি, এ জগত তো সেই পরমময়ের দান।
এ জীবনে যা যা জানব, আগামীদিনে যা অনুভব করব, তা রঙীন মলাটে মোড়া হোক, কী গভীর দুঃখের কালো কাপড় মোড়া দিন, আমি জানি আর কেউ থাকুক বা না থাকুক, রবি তুমি থাকবে আমার হয়ে চিরদিন ।
ওগো রবি সঙ্গে থেকো।।
No comments:
Post a Comment