Monday, 9 April 2018

☆ফিরবে না তো আর☆

আজ এই নিঃস্ব অন্ধকার রাতে,
কান্নাগুলো ভীষণ রকম আটকাতে,
গিলেগেছি শতো বছরের অভিমানের আগুন গুলো, নিশব্দে!!
ফিরবো না তো আর।।

তোমার আনাগোনা মনে,
এক বিশাল বিপদ টানে।
চিরকালীন ভয় হয়; চেনা গলিতে হঠাৎ হারায় পথ,
কে ধরবে এই হাত বলো? আরো সেই চেনা উষ্নতার ছোঁয়াতে ।।
ফিরবে কী, ঐ রঙ ধনূর দিন গুলো!!
ফিরবে কী তুমি আর।।

সাদা মনের মাঝে,
লালের দাগ কেটে, ভালোবাসা হয়েছিলো
বললে যেই,
ঐ দিনি তো হেরে গেছি আমি,
এক অসমাপ্ততাতেই।।
আজ লাল গিলেছে আমায়, আগুন তার হাত!!!
তবু তো তুমি ফিরবে না!!!
ফিরবে না তো আর।।

Saturday, 7 April 2018

《《রবির জন্মদিন》》

"প্রতিদিনে"র জয় গোস্বামীর এক প্রতিবেদনে, বেশ একটা লেখা পড়ে যেটা সবথেকে বেশী ভালো লেগেছে তা হলো, "যদি আমি বাঙালী পরিবারে না জন্মাতাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ পেতাম না।"

আজ এটা আমারও কথা, ঠিক তো ছোটো বেলাটা "সহজ পাঠের" দোলদোলানি কবিতাগুলো মুখস্থ  করতে যদি বাধ্য না হতাম, তবে বড় হয়ে আমার অনুভূতিগুলোর ইমারতটা হয়ত গড়েই উঠত না।

বুঝে উঠতে পারতাম না, "বীরপুরুষ" হয়ে যে মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন  আমার, সেই মায়ের কাছে "প্রশ্ন" করে "ছুটি" চাওয়াটাও আমার।

যত বড় হলাম জানতে পারলাম, "ভালোবাসি ভালোবাসি" ভালোবাসার অপর নাম যে "মুক্তি", তাও জানলাম ।

মনে যখন প্রশ্ন উঠল "ভালোবাসা কারে কয় সেকী কেবলই যাতনাময়?"।
উত্তর পেলাম, ভালোবাসা তো "চীরবসন্ত"।

যখন অনুভূতি গুলো এক এক করে মসৃন হয়ে উঠছে , জেনেছি "আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো।"

সুন্দর যেমন সুন্দরতর হয়েছে তার ছোয়াঁয়, মৃত্যুও তেমনি শিরনত করে তাকে "মৃতুঞ্জয়ী" করে গেছে।

জীবনের এপার ওপার এর যে রাস্তাটা, ওটাও কীভাবে যে জেনে গেছলেন বুঝে পাইনি কখনও ।

পরমময়ের কাছে মাতা নত করে স্বীকার করেছিলেন এ সৃষ্টির স্রষ্ঠা তিনিই। এ প্রকৃতি, এ জগত তো সেই পরমময়ের দান।

এ জীবনে যা যা জানব, আগামীদিনে যা অনুভব করব, তা রঙীন মলাটে মোড়া হোক, কী গভীর দুঃখের কালো কাপড় মোড়া দিন, আমি জানি আর কেউ থাকুক  বা না থাকুক, রবি তুমি থাকবে আমার হয়ে চিরদিন ।

ওগো রবি সঙ্গে থেকো।।

।।জয় হোক সীতা রামের।।

আজ রাম নবমী, আমিও রামভক্তের মতো "জয় শ্রীরাম" বললাম। বলতে পারো,সবার কন্ঠস্বরের স্রোতে গা দিলাম, তবে ভক্তি ও ভালোবাসা নিয়ে।

বলে না অঘটন ঠিক বলে ঘটেনা, প্রতিটা মূহুর্তের নামই অঘটন । তবে এই ঘটনাটা আমার চিন্তা ও চিত্ত দুই খ
ক্ষেত্রেই অঘটন ঘটালো।

তবে একটু পেছনে যাওয়া যাক!!!!
"রামায়নের" গল্পে, যেখানে "রাম, সীতা ও হনুমানের" নানাবিধ কাহিনী আমরা জানতে পায়।

একটু ভাবী এবার......
☆ রামের বিবাহ "হরধনুভঙ্গ" কার কারণে?
"সীতা"।
☆ রামের বনবাস চোদ্দ বছর, সেই মূহুর্তে তার সঙ্গী হওয়ার সিদ্ধান্ত!!
সঙ্গী কে?,"সীতা"।
☆ "সোনার হরিণ" আনার কৃতিত্ব রামের,তবে তার সূচনা কার হাত ধরে?
" সীতা"।
☆ রাবণের "ভীক্ষুক" সাজধারন,কারণ কে?
"সীতা"
☆ "রাম রাবণের যুদ্ধ" ঘোষনা। কারন?
"সীতা উদ্ধার"
☆ রামের ছায়া হয়ে ওঠা "হনুমানের"। কারণ?
"সীতা মার পুনরায় মুক্তি"
☆ "সমুদ্রে সেতুবন্ধন" কার কারণে?
"সীতা"
☆ ভালোবাসার প্রতি মূহুর্তে প্রমাণ দিয়েও "অগ্নিসাক্ষী" কে দিল?
"সীতা"
☆ পরীক্ষায় পাশ মার্কস পেয়েছিল বলেই, ফিরে পাওয়ার আবদার, কাকে ?
"সীতা" কে
☆ আত্মসম্মানের আঘাতে দহন....
"আত্মদহন" ধরার বুকে, কে দিল?
"সীতা"

পুরো গল্পটায় তিনি, তবে আজ যখন সবার জয়কার!!! তখন তিনি হারিয়ে গেছেন!!!!! ঐ মাটির তলায়।

না না, এ অভিযোগ না, আমি একজন নারী, কথার রেশে আমার নারীর জয়গানের প্রচেষ্টা, আমিও আমার নারীত্বের অস্তিত্বের প্রমাণ দি প্রতিদিন, সেই আমিও আজ একই ভুল করলাম!!!!!

তবে ভুল সংশোধন বলবোনা, অবাক বনে গেলাম!!!!

যখন আমার "জয় শ্রীরামের" প্রতিত্ত্যুরে "জয় শ্রীমতী সীতা" এলো.... আর বলতে ভুলবো না, তিনি একজন পুরুষ।

আর হেসে বললেন আজ পুরুষ শাসনে মেয়েরা নিজেদের অস্তিত্বটা ভুলে যাচ্ছে, তবে পুরান সেকথা ভোলেনি।

এক মূহুর্তে যা মনে হলো,  উল্টো স্রোতে চলার মানুষের অভাব এখনও পৃথিবীতে কমেনি। 

আজ আমার ভাবনাতে পড়ে যাওয়া ধুলোকে ঝাড়পোছ করে দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ রইলাম।

আর বুঝলাম এরকম পুরুষ না পুরানের সময় হারিয়ে ছিল, না আজ হারিয়ে গেছে!!! আর আশা রাখলাম ভাবনারা ঠিক বিকশিত হবেই।

তাই আজ আরো একবার ভক্তি ও প্রেম সহকারে বললাম "জয় সীতারাম" "জয় বজরঙ্গবলী"।

[লেখাটা শিল্পী আত্মবন্ধুকে উৎসর্গ করলাম।।]

রবির জন্মদিন

"প্রতিদিনে"র জয় গোস্বামীর এক প্রতিবেদনে, বেশ একটা লেখা পড়ে যেটা সবথেকে বেশী ভালো লেগেছে তা হলো, "যদি আমি বাঙালী পরিবারে না জন্মাতাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ পেতাম না।"

আজ এটা আমারও কথা, ঠিক তো ছোটো বেলাটা "সহজ পাঠের" দোলদোলানি কবিতাগুলো মুখস্থ  করতে যদি বাধ্য না হতাম, তবে বড় হয়ে আমার অনুভূতিগুলোর ইমারতটা হয়ত গড়েই উঠত না।

বুঝে উঠতে পারতাম না, "বীরপুরুষ" হয়ে যে মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন  আমার, সেই মায়ের কাছে "প্রশ্ন" করে "ছুটি" চাওয়াটাও আমার।

যত বড় হলাম জানতে পারলাম, "ভালোবাসি ভালোবাসি" ভালোবাসার অপর নাম যে "মুক্তি", তাও জানলাম ।

মনে যখন প্রশ্ন উঠল "ভালোবাসা কারে কয় সেকী কেবলই যাতনাময়?"।
উত্তর পেলাম, ভালোবাসা তো "চীরবসন্ত"।

যখন অনুভূতি গুলো এক এক করে মসৃন হয়ে উঠছে , জেনেছি "আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো।"

সুন্দর যেমন সুন্দরতর হয়েছে তার ছোয়াঁয়, মৃত্যুও তেমনি শিরনত করে তাকে "মৃতুঞ্জয়ী" করে গেছে।

জীবনের এপার ওপার এর যে রাস্তাটা, ওটাও কীভাবে যে জেনে গেছলেন বুঝে পাইনি কখনও ।

পরমময়ের কাছে মাতা নত করে স্বীকার করেছিলেন এ সৃষ্টির স্রষ্ঠা তিনিই। এ প্রকৃতি, এ জগত তো সেই পরমময়ের দান।

এ জীবনে যা যা জানব, আগামীদিনে যা অনুভব করব, তা রঙীন মলাটে মোড়া হোক, কী গভীর দুঃখের কালো কাপড় মোড়া দিন, আমি জানি আর কেউ থাকুক  বা না থাকুক, রবি তুমি থাকবে আমার হয়ে চিরদিন ।

ওগো রবি সঙ্গে থেকো।।

@মেঘ বর্ষন@

আজ মেঘ করেছে, ঘন কালো মেঘ!!!!

চারিদিকে অন্ধকার নেমেছে, ঝড়টাও উঠবেই, আর না উঠে যাবে কোথায়? এতটা আগুন কী আর একসাথে ধরে রাখা যায়? তাও এক মনে!
তাই তো প্রকৃতি ও গরজে উঠল, এতদিন ধরে এই অশান্তি আর কতোটা অসহায় হয়ে সইবে। ওরো যে খমতা কতটা, তা তো দেখানোর পালা এসেছে....

ভালোবাসার ছায়া শীতলতা দিতে পারে বলে, পায়ের নীচে পিষ্টবে কেন?
এক ঝটকাই ও যে সব কিছু তোয়াক্কা না করে ভেঙে গুড়োতে পারে, লয়ছয় করে দিতে পারে, এটা আরো একবার বুঝিয়ে দিতে হবে বলেই তো রূপটা ধরল আজ ।

বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওর দাপট যদি ও রাখে মাথানত হবেই সবের। এত অবহেলা ও সইবে কেন? যখন আশ্রয়ের ছাওনিটা ওই দিয়েছিল।

অভিমান, ঘোর অভিমানের কণা কণা দিয়েই তো আজ এই মেঘ জমেছে, উগরে দিল সবটা যা ভেতরে ছিল। রাখবে না , আর মায়া কী হবে? এই সব মায়া দিয়ে সেই তো দুর্বলতা ।

কিন্তু পারলো না ধরে রাখতে, এই রাগ, অভিমান ঝরে পড়ল সবটা!!!
ডুকরে ডুকরে ভেঙে পড়ছে, জল বইছে, অঝর ধারায় মুক্ত হতে চাইল।
অভিমান ও দেখালো, বন্ধনমুক্তিও ঘটালো, তাও এতো ভাঙছে কেন? ও কাঁদছে কেন?  ঝরছে কেন ওর ঐ নয়ন? হায় নিয়তি!!!

আরো একবার ও প্রমাণ করে দিল, ও যে "প্রকৃতি" ওর রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে মায়ার টান, ভালোবাসার ছোঁয়া,ও চাইলেই দূরে ঠেলে রাখতে পারে না, ও যে আশ্রয়দাত্রী ও যে "প্রকৃতি" হাঁ "আমি প্রকৃতি"।

●ও চাঁদ তোমায় ভালোবাসি যে●

শরৎের মিশ কালো আকাশ, আর তাতে তুমি রূপের ডালি নিয়ে সেজে বসে আছ, না একদম কোনো মেকি আবেশে নয়!! প্রকৃতির ষোলো কলা দ্বারা সজ্জিত তুমি আজ।
            আমাদের জীবন তো আর পাষাণ নয়, তাতে আছে নিদারুন অনুভূতি।
আর কাব্যে, এই অনুভূতি গুলির প্রকাশকে নয়টা রূপে ভাগ করে দেওয়া যায়, তবে যদি সেই পথ ধরি তবে বলব, আজ তুমি শৃঙ্গার রসে মজেছ।
           
যুগের পর যুগ গেছে, সময় গেয়েছে পালাবদলের গান, তবে তুমি সদা নিজ ভঙ্গিমায় অপরূপ রূপে বিরাজমান।তোমার অমৃত জ্যেৎস্নালোকে, প্রেমের রাসলীলায় রচনা হয়েছে এক মায়াবী প্রেমগাঁথার, তার সাক্ষী তুমি।
       
আবার কখন এতো রূপ নিয়েও তোমার ওপর চাপালো কেউ ঝলসানো রুটির কলঙ্ক, জানি বেঁধেছে তোমার বুকে, অনেকখানি দুঃখ!!!!! তাও কতো ক্ষত চিহ্ন বুকে নিয়েও, প্রেমকে রেখেছ অমলীন।
          
কলঙ্কের খানিকটা লেশ তোমার রূপে টান দিলেও, সম্পূর্ণটা পেরে ওঠেনি। তাই তোমার মায়াবী আলোর মায়া, পথ ভুলিয়েছে কবিদের।

বিজ্ঞান মতে তুমি তোমার রূপ পাও সূর্যের আলোয়, তবে একথা খানিকটা তোমার মান হানী করতে চাইলেও পাররবে না।
কারণ জানো?
যার তেজে জগত মাঝে মাঝে ত্র্যস্ত বোধ করে, যার থেকে আড়াল রেখে সকলে রূপ বাঁচানোর চেষ্টা করে, তার থেকে তুমি তেজ গ্রহণ করে, তাকে স্নিগ্ধ আলোয় পূর্ণতা দিয়ে রূপের ডালি ভর।
এ যে জগত সংসারের অদ্ভুত চিরাচরিত বিস্ময়তার নজির।

কী অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে তোমার সৃষ্টি হয়েছে দেখো!!!! তুমি কাউকে তোমার আলোর মায়ায়  এনে দেবে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা, আবার তোমার এই মায়াজালে আজ কেউ হবে কলঙ্কভাগী।
প্রেমকে নব নব আঙ্গিকে, নব নব রূপ দিয়েছ তুমি ।

ভেবেছিলাম তোমাই একখানি পত্র লিখি, কত নাম তোমার, কত যশ আছে, আছে অসীম প্রেম তোমার, তবে এতো অনুভূতি নিয়ে একখানি পত্রে কুলবে?

ভেবেও কুল পেলাম না!!! কলম ধরলাম, লিখলাম কয়েক কলি, তবে স্থির করলুম তোমার জন্য এক পৃথিবী লিখব।
         
আমার মনের অসীম প্রেম খাতার প্রতিটি পাতায় আজ তোমার বিচরন।
তোমার ভালোবাসার ডাকঘরে, আর এক প্রেমিকার চিঠি পড়ল জানি, উত্তরের অপেক্ষায় থাকব!!!!

জানিও এই অভাগীর প্রেম কী তবে স্বীকৃতী পেল? তবে আজ কী আমি হলাম তোমার প্রেমের কলঙ্কভাগী।।

Thursday, 5 April 2018

♡অবচেতনের সচেতনতায় ভালোবাসা ♡

কাল যখন বৃষ্টির ফোঁটাটা গায়ে পড়লো, কেমন যেন মনের মেঘটাও ভেঙে বৃষ্টিটা ঝরে পড়ল চোখ বেয়ে!!!! 

এই বসন্তের রঙে মেতে ওঠা আর, প্রেমের সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া মনটা কেমন যেন একাকীত্বের ভারী মেঘটাকে সরিয়ে রাখতে পারলোনা। সেও কেমন যেন, অসহায় শিশুর মতো ফুঁপিয়ে উঠল!!!

ঐ যেমন কিছু কষ্ট পেলেও বাচ্চাগুলো বলতে পারে না, শুধু কেঁদে যায় ওরম ভাবেই।

বেশ অনেক বছর, এরকমই এক নিসঙ্গতার দিনে তুই আমার সঙ্গী হওয়ার আবদার জানিয়ে এলি, ভরসা হবার ভরসা দিলি।
সময়ের সাথে সাথে কখন যেন আমরা দুটো নৌকা ছেড়ে একটা নৌকায় পাড়ি দিতে চাইলাম।
বুঝতে পারিনি, সব বেশ ঠিক ঠাক এগোচ্ছিলো।
তখনো পর্যন্ত তোর আমার চাওয়া পাওয়া শুধু নয়, স্বপ্নগুলোতেও কিরকম একটা অদ্ভূত মিল হয়ে যাচ্ছিলো বল!!!!
সব যেন পরিপাটিভাব । তখন তোর স্বপ্ন আমার, আর আমার নাকী সবটাই তোর।

সব ঠিকই যাচ্ছিলো, তবে কেন এমনটা হোলো বলতো? হঠাৎ আমার খারাপ লাগা বিষয়গুলো তোর ভালো থাকার মূলমন্ত্র হয়ে উঠল!!
আমাদের দুজনার একত্র অস্তিত্বটা যে বিলিন হয়ে যেতে চলেছে, বুঝি ঠাওর করতে পারিসনি বল?
পরিবেশটাও বদলে গেল, সাথে মানুষজন ও ।

মনে আছে, তখন আমরা শুধু ভাবতাম না, মানতামও বোধ হয় যে, ঐ যে যেখানে আমাদের জোড়াবাঁধে, হয়তো আমাদের সেখানে বাঁধাপড়া হয়ে গেছে!!!
ওমা, তখন কী আর ছাই জানা ছিল, যে এটা একটা তাসের ঘর! হাল্কা ঠোকাতে ভেঙে পড়বে।

মনে আছে তোর?
এরকম বৃষ্টি পড়লে আমরা একসাথে গা ভেজাবার স্বপ্ন দেখেছিলাম।
ইশ!! তোর আমার সাথে রঙ না খেলতে পারার অভিমানটা ভাবলে, এখনও ঠোঁটের কোনে হাসির কলি ফোটে। এই রঙেও কী সেসব ভেবেছিলি?
এখন সময় একরকম পেরিয়ে যায়!! তবে ওভাবে কাটে না, চা এর ভাঁড় হাতে।
ভাবিস ঐ আড্ডা হাসির গল্পগুলোকে, আমাদের খেলাঘর বাঁধার স্বপ্নগুলোকে।

ভাবিসনিতো, জানি!!!
আমার অতোসব ভাবার সময় থাকে না আজকাল, তোর ও নেই বোধ হয়।
কারণ, তখন ঐ সময়টা আমাদের ভালোবাসা গড়া ও রখ্খার সময় ছিল ,এখন ওটা বদলে গিয়ে আত্মসম্মানে দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ কিন্তু এখন কাউকে এক চিলতে জায়গা ছাড়ব না বুঝলি !!!!
প্রমান করতেই হবে কে কতটা পারি?
তুই! না আমি !

সেইদিনগুলো ভুলে গেছি, যেদিন তুই আমার কারণে আর আমি তোর কারণে সবার সাথে যুদ্ধ করতাম।
তবে এখনের যুদ্ধটা আরও অনেক বড়ো ও দামী,
কারণ এখন তাতে যে তোর সাথে আমি।

আমাদের এই জোড়াটা ভালোবাসাতে কিন্তু বেশ আকর্ষনীয় ছিল !! এই যুদ্ধটাও যেন আমাদের ততোটাই দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্মৃতির বিস্মৃতি ঘটানো কঠিন। তাই আর যা মনে আসছে, তা মনের মাঝেই সমাধিস্থ করেদিলাম।

বৃষ্টিটা কখন থেমে গেছে বুঝিনি!!! আজ আবার তোকে মনে পড়ে গেল।
রাগ হয় নিজের ওপর!!
কেন যে অবচেতন মনটা মাঝে মাঝে সচেতনতার বেড়া টপকে যায়?
এখনও তোর কথা মাথায় এলে, কেমন যেন সব ওলোট পালোট হয়ে যায়।

তবে এমনটা তোর হয় কিনা জানতে চাই না।

এটাতো শুধু আমার একার অনুভূতি আমার একারই থাক।
তবে লড়াই টা জারি থাক।
কারণ এই একমাত্র বিষয়, যেটা এখনও আমাদের।

বাকী তো সব খোওয়া গেছে!!

পলাশের গল্পকথা

আজ একটা গল্প বলি শোনো....
একদিন পথে যেতে গিয়ে আটকে পড়লাম পথের মাঝেই, সবে সবে শুকনো কাঠখোট্টা পলাশ গাছে এক কলি ফুল এসেছে, নাম তারও "পলাশ"।

কী জানি মনে প্রশ্ন এলো? শুকনো তুমি রঙ ধরলে কী করে?

হঠাৎ সে বললো - "এতদিন ধরে নিজেকে তৈরী করেনিচ্ছিলাম, এরপর যে আমার দিন আসবে তাই বলে।

বললাম - "তুমি তো এতো বেরঙীন ছিলে এতদিন ধরে, তুমি কী আর রাঙাবে ?"

উত্তরে বললো -"প্রকৃতির নিয়ম বদলায় অপরূপের আর্শীবাদে, উনি যে সকলকে ঠিক সময়ে সময় দেন। এবার আমার সময় তাই আমাকে এতদিন ধরে প্রস্তুত করে নিচ্ছিলো। আমি অনেকটা অবাক হলাম!!!!

আমার মনের ভেতরের কিছু অজানা প্রশ্নেরা নিজে নিজেই উত্তর পাচ্ছিল!!!!তাই আমি চুপ করে ওর কথায় শুনছিলাম।

আবার হঠাৎ করে বলে উঠল-" জানো আমার সময় কখন? আমি বসন্তে আসি,আমার এটাই সময়। না পাবে আমায় বর্ষায়, আর না পাবে শরৎ এ আমি" বসন্তের রাণী "।

আমিও হেসে বললাম তাই বুঝি।

"এই সময় তো আমার রঙ ধরার দয়িত্ব, আর রাঙানোরও।"

আমি বললাম -"রাঙাবে সেটা কী করে ?"

"আমার যে এতদিনের কাজের প্রস্তুতি তা দিয়ে এবার আগুন জ্বালব, আর রঙ দেখেতো সবাই আমার দিকেই আকর্ষিত হবে!!!!আমার টান লাগবে তাদের মনে!!! আর তখনই দেখতে পাবে,সবাই আমাকে নিয়ে রঙিন উৎসাহে মাতছে।"

বললাম -"তাই বুঝি "

"বললো দাড়াঁও আরও বাকী.... কেউ তুলবে আমায় মাথায়, কারোও কাছে আমি তখন গয়না, কারোও কাছে আমি প্রেমের ভাষা, কারোও কাছে নেশা, কারোও কাছে রঙিন ছবি  কারোও কাছে রঙের মাঝেও বেরঙিন। আমাকে নিয়ে কতোজন কত্তোকী ভাবে !!! কারোও চাওয়াতে আমি, কারোওবা পাওয়াতে ।

আবার তোমাদের ঐ "রবিবাবু "কতো কী তো লিখেই দিলেন আমাকে নিয়ে!!! কখনও বললেন "ফুলের আগুন" তো কখনো "রাঙা হাসি রাশি রাশি আমাতে।"
আমি তো হা!!!! করে শুনছিলাম।

হঠাৎ নাড়িয়ে বললো-" তুই মেয়ে এতো উদাসীন কেন এই বসন্তে ? এই রঙেও তোর মনে রঙ লাগেনি কেন?"

আমি বললাম -"আমার ছাড়ো তোমার বলো আমি এরমই এখন।"

"ও মা সেতো বললে চলবে না! জগৎ স্রষ্টা আমাকে সকলের জীবন রঙিন করার দায়িত্ব দিয়েছে। তুই বাদ যাবি না। এই শোন, আর কটা দিন পরে দোল আসছে তুই আসবি আমার কাছে?"

আমি অবাক হয়ে বললাম-" আমি কেন?"

বললো -"ভারী ভালো লাগছে তোর সাথে কথা বলে, এবার আমরা একসাথে রঙীন হবো.... বল আসবি ?"

আমি বললাম-" বেশ তবে আরও সঙ্গী নিয়ে আসব!!! তোমার একাকীত্ব আর থাকবে না!!!"

এবার,"পলাশ" অবাক হলো!!!

বললো "কী করে বুঝলি ?"

উত্তর একটাই দিলাম," তোমার ঐ আগুনই বলে দিলো...."

সে বললো আচ্ছা," ভারী কথার জাল বুনিসতো, এবার আয় ঐদিন, একসাথে আগুন জ্বালি!"

কেমন যেন বেমালুম খুশী হয়ে গেলাম। ঐ সময় পি উ কাহা ডাক দিয়ে জানান দিলো সেও থাকবে!!!!
এবার খুশী খুশী বিদায় নিয়ে বাড়ী ফেরত।

দোলের দিন সকলে মিলে গেলাম ওর কাছে, সাথে অনেক রঙ ও নিলাম  আর ওর কথা মতো তৈরীও হলাম সাজগোজে।

যেই যাওয়া তেমনি ও আমাদের তার বুকে টেনে নিলো।আজ যেন ওর আগুন এর ঝলকানিতে চোখের তারায় রঙ লেগেছে।

আমাদের বললো -"এই নে আমার সম্পদ, তোদের গয়না হোক।"

হাত পেতে নিলাম পরলাম। উফ ও যে কী খুশি হলো!!! তার ছটা ওর চাওনীতে পেলাম।
ওকেও রঙ মাখালাম, ওর বুকে মাথা রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম,সব অনুভূতিদের রেখে দিলাম ওর কোলে।

আর ও আমার দিকে চেয়ে বললো-" আজ মুক্তির আনন্দ নে, আজ উচ্ছাসে ভরিয়ে দে আমার বন, গেয়ে ওঠ ভালোবাসার গান  রঙিন কর সবাই কে, আজ সবটা তোদের করে নে।"
আর আমরাও ভেসে গেলাম !!!!!!!! আর এভাবেই সেইদিন আমরা পলাশের রঙে রঙীন হয়ে হারিয়ে গেছলাম এক অজানা দেশে!!!!!!!

প্রানের দোসর

এই শোন...এই কটাদিন আসেনি কেন তোর একটাও ফোন? যা এক্কেবারেই আড়ি!

আঃ থাম থাম, করছিসটা কী? কেন এ বাড়াবাড়ি!!!

আচ্ছা বল তবে,এই কদিনে কী একবারও পড়েনি আমায় মনে?

এই বুঝলি তবে আমায়!!! বলেছি না তুই আমার মনের গোপনে

থাক ভোলাতে হবে না আমার মন আমি নইকো ছোটো খুকি!

এই সেরেছে....তোর যে দেখছি গেল নাকী মাথা? নাকী ঘটল বিস্মৃতি।

বলছি ওরে, দে দেখা হলো যে অনেকদিন
ভালোবাসি এই তো অনেক!! তাই বলে কী দেখা চাই প্রতিদিন?

ও এমনি বললিতো!!!!আর ধরব না তোর কাছে আবদার বলবোও না আমায় মনে কর....

ওরে আর করিস নে মান, আমার যে তুই সোনার চাঁদ, আমার প্রানের দোসর।।

কালিকাপ্রসাদভট্টাচার্য "তোমায় হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দেবনা"

আজ আছি কাল নেই বা এই আছি এই নেই, বলাটা যতটা সহজ মেনে নেওয়াটা ঠিক ততটাই কঠিন। আর সেটা যদি এমন কোনো মানুষের প্রতি শুনি যার প্রতি আমরা কিছু ভালো কাজের আশা বাঁধতে শুরু করেছিলাম। তার মাঝে আজ তুমি কালিপ্রসাদ ভট্টাচার্য। আজ সকালে যখন তুমি, যে সুর এতদিন ধরে সেধেছিলে,তা আরো একবার বাঁধবে বলে vidyasagar college এ যাচ্ছিলে,কোলকাতা থেকে যখন তোমার গাড়ী যাত্রা শুরু করলো,তখনোকী একবারও তুমি ভেবেছিলে!!!আজ এ যাত্রা শেষযাত্রা হবে বলেই তোমার জীবন গাড়ী ও যান্ত্রিক গাড়ী দুটোই ছুটছে তরতরিয়ে???কাল রাতে যখন,আজ সকালের পরিকল্পনা করছিলে কিংবা আজ অনুষ্ঠানে কী কী গাইবে ঠিক করছিলে, তখনও কী তুমি জানতে আর খানিক পরে তোমার সব পরিকল্পনায় অপরিকল্পিত থেকে যাবে??? তুমি কী একবারও ভাবতে পেরেছিলে!!!!যে লোক সংগীতকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্ন তুমি জীবনের প্রতিটা মূহুর্ত দিয়েদিলে আজ সেই সুরের যাত্রা গতিরুদ্ধ হবে এভাবে এক দুর্ঘটনায়। এইটা যে আজ "পথদুর্ঘটনা" হলো না গো এটা যে "সুরের দুর্ঘটনাতে" পরিনত হল!! :( লোকসংগীতের যে band হতে পারে আজতো তুমি না থাকলে জানতে পারতামনাগো? তবে কেন আজ কেন হঠাৎ present থেকে past হয়ে গেলে গো!! তোমায় কেন দোষ দিচ্ছি? সব দোষতো সেই ঐ উপরওয়ালার।
আমরা, যে জীবনের পথে যোগে* byasto থাকি, তার সেইরকম এক যোগী তুমি ।আর তোমার সেই যোগের যোগফল লোকসংগীতের বিপুল জনপ্রিয়তা ও নতুন আঙ্গীক। আর যিনি, বিয়োগে* byasto তার বিয়োগফল তো আজ আর কিছুই নয়,আজ সবটাই শূন্ন তবে কেন করলে আজ এই বিয়োগ? কোরো না এমন বিয়োগ ঈশ্বর!! এতে তোমার সংসারের খতি।আর একজন পাগলো নিজেরটা বোঝে আর এটাতো তোমার সংসার তুমি তো ভালোটাই বুঝতে পারলেনা।
আজ তোমার এতদিনের গবেষনায় পূর্নচ্ছেদ পড়লো, বছর পাঁচেকের মেয়েটা তোমার হয়তো আজ বুঝতেই পারছে না তুমি আর তার "বাবা" ডাকে সাড়া দেবেনা, তাকে আর গান না শেখাবে না শোনাবে। আজ যে ওরো এক নিঃস্বতার দিন!!! আজ যখন তোমার তাকে গড়ার দিন,তখন আজ দেখো নিয়তি তোমার মুখাগ্নি করবে। হায় ঈশ্বর এ কী অবিচার তোমার,আজ কিছু আগের জীবন্ত কে প্রয়াত করেদিলে।
ভূমি band র সৌমোদা বললো,"বাস্তব যখন চড় মারে তখন ভীষন জোরে লাগে" আজ এই ঠিক চড়টা খেয়ে নিলেও sojhyo করতে পারছি না।
যেখানে আজ তুমি গেলে সেখান থেকে তোমার হয়তো ফেরার পথ নেই, তবে আমার চাওয়ার পথ আজ আছে, আর যেটা চাই তোমার আত্মার শান্তি!!! ভালো থেকো, সেখানেই যেখানে তুমি থাকতে চাও।

   তোমারই গানের কথাই," আমি তোমারি গান গাই, আমারো গান গাও তুমি"

মনের বিষন্ন বিলাপ

জানিস আজ আমার বড্ড মন খারাপ,
আজ আমার মনটাও হঠাৎ বলছে হয়তো আমিই খারাপ,
সেই যখন থেকে হতে লাগলাম বড়,
আমার প্রতি সবার আশায় আমি নিজেই জড়সড় ।

মা বলল, করিস নে কাজ নিজের মনোমতো ।
পারবি না রে উতরোতে তুই খাবি খাপি শত।।
ভাবলাম মনে ঠিক কথাতো, সেতো আমার মা।
আমি তো আর তার চেয়ে বেশী জানতে পারিনা।।

বাবা বলতো, পড়তে হবে হতে হবে মানুষ ।
বন্ধুবান্ধব কম হোক এবার আনো এবার হুশ ।।
ভাবলাম মনে ঠিক কথাতো হতে হবে বড়, আজ থেকে আর রাখব না বন্ধুত্ব ঘোরতর ।।

জীবনের প্রতিটা ধাপে তারাই আমার সব ,
তবে কেন তারা আমার মনের রাখে না খোঁজ!!!

আমারও তো মন আছে, আমারো অনেক চাওয়া পাওয়া !
ভালোবাসাও ঘর বাঁধে, আর মন খোলে তার জানলা।।
ভালোবেসেছি পেতে চেয়েছি জীবন পথের খোঁজ,
সঙ্গে তারাও থাকবে আমার এই চাওয়াটা কী দোষ?

আজ এই আবদার ধরতে চাইছি তাদের সামনে আমি,
তবে আজও মন বলছে হয়ত ভাববে তারা বাকী এখন সব আমার কাছে তাদের থেকেও দামী ।।

প্রথম হাঁটতে শেখা আমার তোমাদেরই ধরে হাত,
তবে আজ আমি হতে চাইছি স্বার্থপর নাকী সবই অজুহাত!!!

যদি আমিও হতে পারতাম তোমার মতো নীলকন্ঠ, ধরতে পারতাম গরল ।
তবে আর কাউকে বুঝতে দিতামনা কিছ্ছু, মুখে রাখতাম মিষ্টি হাসি সহজ সরল ।।

জানিনা তো কী হবে? আর কীবাই থাকবে বাকী?
জীবন এখন আছে হয়তো পরে সবটাই ফাঁকি।।

তবু যে আর পারছি না, এই টানাপড়েন এর মাঝে ।
মন চাইছে একটু মুক্তি, নিস্তব্ধতার সাজে।।

এটা তোর জন্য ❤

আমার বাংলা তোমারো এক

"আমি বাংলায় গান গায়", কিংবা "বাংলা আমার সরষে ইলিশ" কোনোটাই নয়,বাংলাটা ঠিক ভাষাতেই আটকে নেই.......

বাংলাটা হলো এক অপূর্ব অনুভূতি, আমাদের ভেতরের প্রকাশ।
যখন আমাদের ভালোবাসাটা আর কিছুতেই কাউকে বুঝিয়ে উঠতে পারিনা!!!!তখন তাকে, "আমি তোমাকে ভালোবাসিটায়" শেষ উপায় হয়ে দাড়াঁয়।
যখন মন দুঃখে মুষড়ে পড়ে তখন, "আর পারছি না" এটাই সম্বল হয়।
যখন ঝগড়াগুলো আর সীমা পায় না তখন, বাংলাটায় কেমন যেন তরী বাচাঁনোর ঠাঁই হয়ে যায় !!!!!

অন্ধ ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ তো "মা" ডাকেই ফুটে ওঠে।
যখন নিজের জীবন যুদ্ধের থেকে অবসর নেওয়ার পালা আসে তখন," ভগবান মুক্তি দাও" এগুলো ছাড়া যেন আর কিছুই মুখ থেকে অকপটে বেরিয়ে আসে না।

তবে এগুলো কী ভেবে দেখি আমরা???? যদি না দেখি!! তো এবার থেকে দেখো।
কারণ আমরা যদি এই বাংলার খোঁজ না রেখে অন্যের উপর বেশী ভরসা করে বসি,তখন বিষয়টা ঠিক নিজের ঘরের খোঁজ না রেখে, ভরসা না রেখে, পাশের বাড়ির প্রতি অতি ভরসা হয়ে যাবে!!!

আর মনে রেখো, বিপদে কিন্তু বাবা মা একমাত্র সম্বল।

আজ অনেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছ সেটা নিলাম,আর বিশ্বাস রাখলাম বাংলা তোমাদের মনে,প্রানে ও জীবনে এভাবেই ডানা মেলে উড়ে বেড়াক।

"বাংলা" আমি তোমায় বড্ড ভালোবাসি ।