Monday, 9 April 2018

☆ফিরবে না তো আর☆

আজ এই নিঃস্ব অন্ধকার রাতে,
কান্নাগুলো ভীষণ রকম আটকাতে,
গিলেগেছি শতো বছরের অভিমানের আগুন গুলো, নিশব্দে!!
ফিরবো না তো আর।।

তোমার আনাগোনা মনে,
এক বিশাল বিপদ টানে।
চিরকালীন ভয় হয়; চেনা গলিতে হঠাৎ হারায় পথ,
কে ধরবে এই হাত বলো? আরো সেই চেনা উষ্নতার ছোঁয়াতে ।।
ফিরবে কী, ঐ রঙ ধনূর দিন গুলো!!
ফিরবে কী তুমি আর।।

সাদা মনের মাঝে,
লালের দাগ কেটে, ভালোবাসা হয়েছিলো
বললে যেই,
ঐ দিনি তো হেরে গেছি আমি,
এক অসমাপ্ততাতেই।।
আজ লাল গিলেছে আমায়, আগুন তার হাত!!!
তবু তো তুমি ফিরবে না!!!
ফিরবে না তো আর।।

Saturday, 7 April 2018

《《রবির জন্মদিন》》

"প্রতিদিনে"র জয় গোস্বামীর এক প্রতিবেদনে, বেশ একটা লেখা পড়ে যেটা সবথেকে বেশী ভালো লেগেছে তা হলো, "যদি আমি বাঙালী পরিবারে না জন্মাতাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ পেতাম না।"

আজ এটা আমারও কথা, ঠিক তো ছোটো বেলাটা "সহজ পাঠের" দোলদোলানি কবিতাগুলো মুখস্থ  করতে যদি বাধ্য না হতাম, তবে বড় হয়ে আমার অনুভূতিগুলোর ইমারতটা হয়ত গড়েই উঠত না।

বুঝে উঠতে পারতাম না, "বীরপুরুষ" হয়ে যে মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন  আমার, সেই মায়ের কাছে "প্রশ্ন" করে "ছুটি" চাওয়াটাও আমার।

যত বড় হলাম জানতে পারলাম, "ভালোবাসি ভালোবাসি" ভালোবাসার অপর নাম যে "মুক্তি", তাও জানলাম ।

মনে যখন প্রশ্ন উঠল "ভালোবাসা কারে কয় সেকী কেবলই যাতনাময়?"।
উত্তর পেলাম, ভালোবাসা তো "চীরবসন্ত"।

যখন অনুভূতি গুলো এক এক করে মসৃন হয়ে উঠছে , জেনেছি "আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো।"

সুন্দর যেমন সুন্দরতর হয়েছে তার ছোয়াঁয়, মৃত্যুও তেমনি শিরনত করে তাকে "মৃতুঞ্জয়ী" করে গেছে।

জীবনের এপার ওপার এর যে রাস্তাটা, ওটাও কীভাবে যে জেনে গেছলেন বুঝে পাইনি কখনও ।

পরমময়ের কাছে মাতা নত করে স্বীকার করেছিলেন এ সৃষ্টির স্রষ্ঠা তিনিই। এ প্রকৃতি, এ জগত তো সেই পরমময়ের দান।

এ জীবনে যা যা জানব, আগামীদিনে যা অনুভব করব, তা রঙীন মলাটে মোড়া হোক, কী গভীর দুঃখের কালো কাপড় মোড়া দিন, আমি জানি আর কেউ থাকুক  বা না থাকুক, রবি তুমি থাকবে আমার হয়ে চিরদিন ।

ওগো রবি সঙ্গে থেকো।।

।।জয় হোক সীতা রামের।।

আজ রাম নবমী, আমিও রামভক্তের মতো "জয় শ্রীরাম" বললাম। বলতে পারো,সবার কন্ঠস্বরের স্রোতে গা দিলাম, তবে ভক্তি ও ভালোবাসা নিয়ে।

বলে না অঘটন ঠিক বলে ঘটেনা, প্রতিটা মূহুর্তের নামই অঘটন । তবে এই ঘটনাটা আমার চিন্তা ও চিত্ত দুই খ
ক্ষেত্রেই অঘটন ঘটালো।

তবে একটু পেছনে যাওয়া যাক!!!!
"রামায়নের" গল্পে, যেখানে "রাম, সীতা ও হনুমানের" নানাবিধ কাহিনী আমরা জানতে পায়।

একটু ভাবী এবার......
☆ রামের বিবাহ "হরধনুভঙ্গ" কার কারণে?
"সীতা"।
☆ রামের বনবাস চোদ্দ বছর, সেই মূহুর্তে তার সঙ্গী হওয়ার সিদ্ধান্ত!!
সঙ্গী কে?,"সীতা"।
☆ "সোনার হরিণ" আনার কৃতিত্ব রামের,তবে তার সূচনা কার হাত ধরে?
" সীতা"।
☆ রাবণের "ভীক্ষুক" সাজধারন,কারণ কে?
"সীতা"
☆ "রাম রাবণের যুদ্ধ" ঘোষনা। কারন?
"সীতা উদ্ধার"
☆ রামের ছায়া হয়ে ওঠা "হনুমানের"। কারণ?
"সীতা মার পুনরায় মুক্তি"
☆ "সমুদ্রে সেতুবন্ধন" কার কারণে?
"সীতা"
☆ ভালোবাসার প্রতি মূহুর্তে প্রমাণ দিয়েও "অগ্নিসাক্ষী" কে দিল?
"সীতা"
☆ পরীক্ষায় পাশ মার্কস পেয়েছিল বলেই, ফিরে পাওয়ার আবদার, কাকে ?
"সীতা" কে
☆ আত্মসম্মানের আঘাতে দহন....
"আত্মদহন" ধরার বুকে, কে দিল?
"সীতা"

পুরো গল্পটায় তিনি, তবে আজ যখন সবার জয়কার!!! তখন তিনি হারিয়ে গেছেন!!!!! ঐ মাটির তলায়।

না না, এ অভিযোগ না, আমি একজন নারী, কথার রেশে আমার নারীর জয়গানের প্রচেষ্টা, আমিও আমার নারীত্বের অস্তিত্বের প্রমাণ দি প্রতিদিন, সেই আমিও আজ একই ভুল করলাম!!!!!

তবে ভুল সংশোধন বলবোনা, অবাক বনে গেলাম!!!!

যখন আমার "জয় শ্রীরামের" প্রতিত্ত্যুরে "জয় শ্রীমতী সীতা" এলো.... আর বলতে ভুলবো না, তিনি একজন পুরুষ।

আর হেসে বললেন আজ পুরুষ শাসনে মেয়েরা নিজেদের অস্তিত্বটা ভুলে যাচ্ছে, তবে পুরান সেকথা ভোলেনি।

এক মূহুর্তে যা মনে হলো,  উল্টো স্রোতে চলার মানুষের অভাব এখনও পৃথিবীতে কমেনি। 

আজ আমার ভাবনাতে পড়ে যাওয়া ধুলোকে ঝাড়পোছ করে দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ রইলাম।

আর বুঝলাম এরকম পুরুষ না পুরানের সময় হারিয়ে ছিল, না আজ হারিয়ে গেছে!!! আর আশা রাখলাম ভাবনারা ঠিক বিকশিত হবেই।

তাই আজ আরো একবার ভক্তি ও প্রেম সহকারে বললাম "জয় সীতারাম" "জয় বজরঙ্গবলী"।

[লেখাটা শিল্পী আত্মবন্ধুকে উৎসর্গ করলাম।।]

রবির জন্মদিন

"প্রতিদিনে"র জয় গোস্বামীর এক প্রতিবেদনে, বেশ একটা লেখা পড়ে যেটা সবথেকে বেশী ভালো লেগেছে তা হলো, "যদি আমি বাঙালী পরিবারে না জন্মাতাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ পেতাম না।"

আজ এটা আমারও কথা, ঠিক তো ছোটো বেলাটা "সহজ পাঠের" দোলদোলানি কবিতাগুলো মুখস্থ  করতে যদি বাধ্য না হতাম, তবে বড় হয়ে আমার অনুভূতিগুলোর ইমারতটা হয়ত গড়েই উঠত না।

বুঝে উঠতে পারতাম না, "বীরপুরুষ" হয়ে যে মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন  আমার, সেই মায়ের কাছে "প্রশ্ন" করে "ছুটি" চাওয়াটাও আমার।

যত বড় হলাম জানতে পারলাম, "ভালোবাসি ভালোবাসি" ভালোবাসার অপর নাম যে "মুক্তি", তাও জানলাম ।

মনে যখন প্রশ্ন উঠল "ভালোবাসা কারে কয় সেকী কেবলই যাতনাময়?"।
উত্তর পেলাম, ভালোবাসা তো "চীরবসন্ত"।

যখন অনুভূতি গুলো এক এক করে মসৃন হয়ে উঠছে , জেনেছি "আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো।"

সুন্দর যেমন সুন্দরতর হয়েছে তার ছোয়াঁয়, মৃত্যুও তেমনি শিরনত করে তাকে "মৃতুঞ্জয়ী" করে গেছে।

জীবনের এপার ওপার এর যে রাস্তাটা, ওটাও কীভাবে যে জেনে গেছলেন বুঝে পাইনি কখনও ।

পরমময়ের কাছে মাতা নত করে স্বীকার করেছিলেন এ সৃষ্টির স্রষ্ঠা তিনিই। এ প্রকৃতি, এ জগত তো সেই পরমময়ের দান।

এ জীবনে যা যা জানব, আগামীদিনে যা অনুভব করব, তা রঙীন মলাটে মোড়া হোক, কী গভীর দুঃখের কালো কাপড় মোড়া দিন, আমি জানি আর কেউ থাকুক  বা না থাকুক, রবি তুমি থাকবে আমার হয়ে চিরদিন ।

ওগো রবি সঙ্গে থেকো।।

@মেঘ বর্ষন@

আজ মেঘ করেছে, ঘন কালো মেঘ!!!!

চারিদিকে অন্ধকার নেমেছে, ঝড়টাও উঠবেই, আর না উঠে যাবে কোথায়? এতটা আগুন কী আর একসাথে ধরে রাখা যায়? তাও এক মনে!
তাই তো প্রকৃতি ও গরজে উঠল, এতদিন ধরে এই অশান্তি আর কতোটা অসহায় হয়ে সইবে। ওরো যে খমতা কতটা, তা তো দেখানোর পালা এসেছে....

ভালোবাসার ছায়া শীতলতা দিতে পারে বলে, পায়ের নীচে পিষ্টবে কেন?
এক ঝটকাই ও যে সব কিছু তোয়াক্কা না করে ভেঙে গুড়োতে পারে, লয়ছয় করে দিতে পারে, এটা আরো একবার বুঝিয়ে দিতে হবে বলেই তো রূপটা ধরল আজ ।

বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওর দাপট যদি ও রাখে মাথানত হবেই সবের। এত অবহেলা ও সইবে কেন? যখন আশ্রয়ের ছাওনিটা ওই দিয়েছিল।

অভিমান, ঘোর অভিমানের কণা কণা দিয়েই তো আজ এই মেঘ জমেছে, উগরে দিল সবটা যা ভেতরে ছিল। রাখবে না , আর মায়া কী হবে? এই সব মায়া দিয়ে সেই তো দুর্বলতা ।

কিন্তু পারলো না ধরে রাখতে, এই রাগ, অভিমান ঝরে পড়ল সবটা!!!
ডুকরে ডুকরে ভেঙে পড়ছে, জল বইছে, অঝর ধারায় মুক্ত হতে চাইল।
অভিমান ও দেখালো, বন্ধনমুক্তিও ঘটালো, তাও এতো ভাঙছে কেন? ও কাঁদছে কেন?  ঝরছে কেন ওর ঐ নয়ন? হায় নিয়তি!!!

আরো একবার ও প্রমাণ করে দিল, ও যে "প্রকৃতি" ওর রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে মায়ার টান, ভালোবাসার ছোঁয়া,ও চাইলেই দূরে ঠেলে রাখতে পারে না, ও যে আশ্রয়দাত্রী ও যে "প্রকৃতি" হাঁ "আমি প্রকৃতি"।

●ও চাঁদ তোমায় ভালোবাসি যে●

শরৎের মিশ কালো আকাশ, আর তাতে তুমি রূপের ডালি নিয়ে সেজে বসে আছ, না একদম কোনো মেকি আবেশে নয়!! প্রকৃতির ষোলো কলা দ্বারা সজ্জিত তুমি আজ।
            আমাদের জীবন তো আর পাষাণ নয়, তাতে আছে নিদারুন অনুভূতি।
আর কাব্যে, এই অনুভূতি গুলির প্রকাশকে নয়টা রূপে ভাগ করে দেওয়া যায়, তবে যদি সেই পথ ধরি তবে বলব, আজ তুমি শৃঙ্গার রসে মজেছ।
           
যুগের পর যুগ গেছে, সময় গেয়েছে পালাবদলের গান, তবে তুমি সদা নিজ ভঙ্গিমায় অপরূপ রূপে বিরাজমান।তোমার অমৃত জ্যেৎস্নালোকে, প্রেমের রাসলীলায় রচনা হয়েছে এক মায়াবী প্রেমগাঁথার, তার সাক্ষী তুমি।
       
আবার কখন এতো রূপ নিয়েও তোমার ওপর চাপালো কেউ ঝলসানো রুটির কলঙ্ক, জানি বেঁধেছে তোমার বুকে, অনেকখানি দুঃখ!!!!! তাও কতো ক্ষত চিহ্ন বুকে নিয়েও, প্রেমকে রেখেছ অমলীন।
          
কলঙ্কের খানিকটা লেশ তোমার রূপে টান দিলেও, সম্পূর্ণটা পেরে ওঠেনি। তাই তোমার মায়াবী আলোর মায়া, পথ ভুলিয়েছে কবিদের।

বিজ্ঞান মতে তুমি তোমার রূপ পাও সূর্যের আলোয়, তবে একথা খানিকটা তোমার মান হানী করতে চাইলেও পাররবে না।
কারণ জানো?
যার তেজে জগত মাঝে মাঝে ত্র্যস্ত বোধ করে, যার থেকে আড়াল রেখে সকলে রূপ বাঁচানোর চেষ্টা করে, তার থেকে তুমি তেজ গ্রহণ করে, তাকে স্নিগ্ধ আলোয় পূর্ণতা দিয়ে রূপের ডালি ভর।
এ যে জগত সংসারের অদ্ভুত চিরাচরিত বিস্ময়তার নজির।

কী অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে তোমার সৃষ্টি হয়েছে দেখো!!!! তুমি কাউকে তোমার আলোর মায়ায়  এনে দেবে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা, আবার তোমার এই মায়াজালে আজ কেউ হবে কলঙ্কভাগী।
প্রেমকে নব নব আঙ্গিকে, নব নব রূপ দিয়েছ তুমি ।

ভেবেছিলাম তোমাই একখানি পত্র লিখি, কত নাম তোমার, কত যশ আছে, আছে অসীম প্রেম তোমার, তবে এতো অনুভূতি নিয়ে একখানি পত্রে কুলবে?

ভেবেও কুল পেলাম না!!! কলম ধরলাম, লিখলাম কয়েক কলি, তবে স্থির করলুম তোমার জন্য এক পৃথিবী লিখব।
         
আমার মনের অসীম প্রেম খাতার প্রতিটি পাতায় আজ তোমার বিচরন।
তোমার ভালোবাসার ডাকঘরে, আর এক প্রেমিকার চিঠি পড়ল জানি, উত্তরের অপেক্ষায় থাকব!!!!

জানিও এই অভাগীর প্রেম কী তবে স্বীকৃতী পেল? তবে আজ কী আমি হলাম তোমার প্রেমের কলঙ্কভাগী।।

Thursday, 5 April 2018

♡অবচেতনের সচেতনতায় ভালোবাসা ♡

কাল যখন বৃষ্টির ফোঁটাটা গায়ে পড়লো, কেমন যেন মনের মেঘটাও ভেঙে বৃষ্টিটা ঝরে পড়ল চোখ বেয়ে!!!! 

এই বসন্তের রঙে মেতে ওঠা আর, প্রেমের সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া মনটা কেমন যেন একাকীত্বের ভারী মেঘটাকে সরিয়ে রাখতে পারলোনা। সেও কেমন যেন, অসহায় শিশুর মতো ফুঁপিয়ে উঠল!!!

ঐ যেমন কিছু কষ্ট পেলেও বাচ্চাগুলো বলতে পারে না, শুধু কেঁদে যায় ওরম ভাবেই।

বেশ অনেক বছর, এরকমই এক নিসঙ্গতার দিনে তুই আমার সঙ্গী হওয়ার আবদার জানিয়ে এলি, ভরসা হবার ভরসা দিলি।
সময়ের সাথে সাথে কখন যেন আমরা দুটো নৌকা ছেড়ে একটা নৌকায় পাড়ি দিতে চাইলাম।
বুঝতে পারিনি, সব বেশ ঠিক ঠাক এগোচ্ছিলো।
তখনো পর্যন্ত তোর আমার চাওয়া পাওয়া শুধু নয়, স্বপ্নগুলোতেও কিরকম একটা অদ্ভূত মিল হয়ে যাচ্ছিলো বল!!!!
সব যেন পরিপাটিভাব । তখন তোর স্বপ্ন আমার, আর আমার নাকী সবটাই তোর।

সব ঠিকই যাচ্ছিলো, তবে কেন এমনটা হোলো বলতো? হঠাৎ আমার খারাপ লাগা বিষয়গুলো তোর ভালো থাকার মূলমন্ত্র হয়ে উঠল!!
আমাদের দুজনার একত্র অস্তিত্বটা যে বিলিন হয়ে যেতে চলেছে, বুঝি ঠাওর করতে পারিসনি বল?
পরিবেশটাও বদলে গেল, সাথে মানুষজন ও ।

মনে আছে, তখন আমরা শুধু ভাবতাম না, মানতামও বোধ হয় যে, ঐ যে যেখানে আমাদের জোড়াবাঁধে, হয়তো আমাদের সেখানে বাঁধাপড়া হয়ে গেছে!!!
ওমা, তখন কী আর ছাই জানা ছিল, যে এটা একটা তাসের ঘর! হাল্কা ঠোকাতে ভেঙে পড়বে।

মনে আছে তোর?
এরকম বৃষ্টি পড়লে আমরা একসাথে গা ভেজাবার স্বপ্ন দেখেছিলাম।
ইশ!! তোর আমার সাথে রঙ না খেলতে পারার অভিমানটা ভাবলে, এখনও ঠোঁটের কোনে হাসির কলি ফোটে। এই রঙেও কী সেসব ভেবেছিলি?
এখন সময় একরকম পেরিয়ে যায়!! তবে ওভাবে কাটে না, চা এর ভাঁড় হাতে।
ভাবিস ঐ আড্ডা হাসির গল্পগুলোকে, আমাদের খেলাঘর বাঁধার স্বপ্নগুলোকে।

ভাবিসনিতো, জানি!!!
আমার অতোসব ভাবার সময় থাকে না আজকাল, তোর ও নেই বোধ হয়।
কারণ, তখন ঐ সময়টা আমাদের ভালোবাসা গড়া ও রখ্খার সময় ছিল ,এখন ওটা বদলে গিয়ে আত্মসম্মানে দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ কিন্তু এখন কাউকে এক চিলতে জায়গা ছাড়ব না বুঝলি !!!!
প্রমান করতেই হবে কে কতটা পারি?
তুই! না আমি !

সেইদিনগুলো ভুলে গেছি, যেদিন তুই আমার কারণে আর আমি তোর কারণে সবার সাথে যুদ্ধ করতাম।
তবে এখনের যুদ্ধটা আরও অনেক বড়ো ও দামী,
কারণ এখন তাতে যে তোর সাথে আমি।

আমাদের এই জোড়াটা ভালোবাসাতে কিন্তু বেশ আকর্ষনীয় ছিল !! এই যুদ্ধটাও যেন আমাদের ততোটাই দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্মৃতির বিস্মৃতি ঘটানো কঠিন। তাই আর যা মনে আসছে, তা মনের মাঝেই সমাধিস্থ করেদিলাম।

বৃষ্টিটা কখন থেমে গেছে বুঝিনি!!! আজ আবার তোকে মনে পড়ে গেল।
রাগ হয় নিজের ওপর!!
কেন যে অবচেতন মনটা মাঝে মাঝে সচেতনতার বেড়া টপকে যায়?
এখনও তোর কথা মাথায় এলে, কেমন যেন সব ওলোট পালোট হয়ে যায়।

তবে এমনটা তোর হয় কিনা জানতে চাই না।

এটাতো শুধু আমার একার অনুভূতি আমার একারই থাক।
তবে লড়াই টা জারি থাক।
কারণ এই একমাত্র বিষয়, যেটা এখনও আমাদের।

বাকী তো সব খোওয়া গেছে!!